পঞ্চগড়ে বিএসএফ কর্তৃক পুশ-ইন: বিজিবির জালে ২৬ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ-শিশু, এনএসআই’র নজরদারি জোরদার
আপডেট সময় :
২০২৫-০৬-০৩ ১৫:৪৩:৩৩
পঞ্চগড়ে বিএসএফ কর্তৃক পুশ-ইন: বিজিবির জালে ২৬ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ-শিশু, এনএসআই’র নজরদারি জোরদার
মোঃ মোহন মিয়া স্টাফ রিপোর্টার : পঞ্চগড়, ৩ জুন ২০২৫: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক পুশ-ইনকৃত ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আজ পঞ্চগড় সীমান্তে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। আটকদের মধ্যে নারী, শিশু ও পুরুষ রয়েছে। ঘটনাটি ডাংগিবাজার এলাকায় সীমান্ত মেইন পিলার ৭৫৭/১০-এস এর কাছে ঘটে।
স্থান: পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৭ নম্বর হাড়িভাসা ইউনিয়ন, বিজিবি ৫৬ ব্যাটালিয়নের অধীন ঘাগড়া বিওপি সময়: ৩ জুন ২০২৫, সকাল ৮টা ৩০ মিনিট সীমান্ত পিলার: ৭৫৭/১০ এস থেকে ২ কিমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশ-ইন সংখ্যা: মোট ২৬ জন পুরুষ: ৭ জন নারী: ১০ জন শিশু: ৯ জন
আটককৃতদের পরিচয় (উল্লেখযোগ্য ৯ জনের নাম প্রাপ্ত): কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি ও নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দা: ১. মোঃ ফরিদ হোসেন (৩৫), পিতা- ইনসার আলী ২. মোছাঃ রসনা বেগম (৩০), স্বামী- ফরিদ হোসেন ৩. মোঃ হাসান মিয়া (১০), পিতা- ফরিদ হোসেন ৪. মোঃ আশরাফ ইসলাম (২৭), পিতা- নুর ইসলাম
৫. মোছাঃ রানি বেগম (২০), স্বামী- আশরাফ ইসলাম ৬. মোঃ নয়ন (৪), পিতা- আশরাফ ইসলাম ৭. মোঃ রাশিদুল ইসলাম (১০), পিতা- নুর ইসলাম ৮. মোছাঃ আরজিনা (২০), পিতা- নুর ইসলাম ৯. মোছাঃ আতুরবান (৪৫), পিতা- আনসার আলী অপর ১৭ জনের নাম-পরিচয় যাচাই ও তালিকাভুক্তকরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বিজিবির মাধ্যমে।
হেফাজত: আটককৃত সকল ২৬ জন ব্যক্তি বর্তমানে ঘাগড়া বিওপিতে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনি পদক্ষেপ: তাদের পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
সহায়তা: নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুদের জন্য খাদ্য সহায়তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার, পরপরই জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (NSI) এ বিষয়ে বিজিবি ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছে। সীমান্তে এ ধরনের পুশ-ইনের উদ্দেশ্য ও চক্র চিহ্নিতকরণে অভিযান চলবে
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসএফের এই ধরনের একতরফা পুশ-ইন কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও প্রতিবেশী কূটনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। সংবিধিবদ্ধ সংলাপ ও যৌথ প্রক্রিয়া ছাড়াই নাগরিকদের এভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কাজ অনৈতিক এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় হুমকি।
বাংলাদেশ সরকার সীমান্তে শান্তি, মানবাধিকার রক্ষা এবং আঞ্চলিক সৌহার্দ্য বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কূটনৈতিক মাধ্যমে কড়া বার্তা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স